সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, খসে পড়ছে পলেস্তারা, বেঁকে গেছে জানালার গ্রিল। এছাড়া নষ্ট হয়ে গেছে দরজার চৌকাঠ। ব্যারাক, গ্যারেজ বিল্ডিং, অফিস কক্ষের পিলার দেয়ালেও দেখা দিয়েছে ফাটল। বিপজ্জনকভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে ভবনের ছাদ, কার্নিশসহ বিভিন্ন অংশে। বাথরুমের দরজা ভাঙা, কমোড ব্যবহারের অনুপযোগী এবং ফ্লাশগুলোও নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। রান্নাঘরের অবস্থাও ঠিক একই রকম। বাসভবন, জ্বালানি স্টোর, পাম্প হাউস ও ইলেকট্রনিক্স ভবনও সংস্কার করা হয়নি। সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নির্মাণের ১৩ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই ভবনটির এই জরাজীর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. ইয়াছিন প্রধান ইউএনবিকে জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে কর্মকর্তাদের থাকার জায়গা ও স্টাফদের ব্যারাক। সার্বক্ষণিক ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই বসবাস করছেন স্টেশনের ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
তিনি বলেন, এ স্টেশন ভবনের ফাটলসহ জরাজীর্ণ অবস্থা সম্পর্কে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। ২০১৭ সালে তৎকালীন চাঁদপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার সরেজমিনে এসে ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের ফায়ার স্টেশনের (উত্তর) সহকারি উপ- পরিচালক ফরিদ আহাম্মদ ইউএনবিকে বলেন, আমরা অনেকবার কর্তৃপক্ষের কাছে কচুয়া ফায়ার স্টেশনের জরাজীর্ণ ভবনটি মেরামতের জন্য লেখালিখি করেছি। পিডব্লিউডি কর্তৃপক্ষ বলেছে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে, কিন্তু কবে শুরু হবে জানা যায়নি।